রাজা মেন-হের-রা’র সমাধি উন্মোচনের পরে পরেই বেশ কয়েকটি রহস্যময় মৃত্যু ঘটেছিল— মনে আছে আপনাদের?
লর্ড কার্নারভন সবে তখন তুত-আঁখ-আমেনের সমাধি আবিষ্কার করেছেন। স্যার জন উইলার্ড আর নিউ ইয়র্কের মিস্টার ব্লেইবনার সেইসময় কায়রো-র কাছেই, গিজার পিরামিডের আশেপাশে খোঁড়াখুঁড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁরা সেখানে বেশ কয়েকটি কক্ষ খুঁজে পান, যেগুলো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাজেই ব্যবহৃত হত। ক্রমে বোঝা যায়, অষ্টম রাজবংশের এক স্বল্পজ্ঞাত রাজা মেন-হের-রা’র সমাধি ওটি। বিভিন্ন খবরের কাগজে এই আবিষ্কার নিয়ে বেশ ফলাও করে লেখা হয়।
তার ক’দিনের মধ্যেই এমন একটা ঘটনা ঘটে, যা জনমানসে বেশ জোরালো প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। স্যার উইলার্ড হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান!
দু’সপ্তাহ পর মিস্টার ব্লেইবনার রক্তে দূষণের ফলে মারা গেলেন। তার কিছুদিন পরে তাঁর এক ভাইপো নিউ ইয়র্কেই গুলি করে আত্মহত্যা করলেন। ‘মেন-হের-রা’র অভিশাপ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা শুরু হল এরপরেই। যে মিশরের অস্তিত্বও আজ আর নেই, সেই হয়ে দাঁড়াল লোকের চিন্তা-ভাবনার কেন্দ্র।
আর তখনই পোয়ারো একটা চিঠি পেল। চিঠিটা লিখেছিলেন লেডি উইলার্ড— প্রয়াত প্রত্নতাত্ত্বিকের বিধবা স্ত্রী। পোয়ারো’র সঙ্গে সেবার তদন্ত করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তাকে আমার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর আর নাটকীয় অ্যাডভেঞ্চারগুলোর অন্যতম বলা চলে।
Reviews
There are no reviews yet.