রহস্য সন্ধানী দময়ন্তী সমগ্র – ২ এ থাকছে পাঁচটি উপন্যাস।
১) প্রথম পাপ
দময়ন্তীর কাছে এক ক্লায়েন্ট এলেন। সুন্দরী মহিলা, বড়লোকের স্ত্রী। তাঁর সমস্যা হল তাঁকে কেউ blackmail করছে কিন্তু কে করছে বা কেন করছে তা তিনি বলতে রাজি নন। তিনি তাঁর জীবন কাহিনি যা বললেন দেখা গেল তার মধ্যেও তিনটে মিথ্যে কথা বলেছেন। এটা এতই রহস্যময় case যে দময়ন্তী তাঁকে সাহায্য করতে রাজি হল এবং মিথ্যে কথাগুলো বিশ্লেসন করে আসল সত্যটা বের করল।
২) অন্ধতামস
বিহারের একটি বর্ধিষ্ণু শহরে একজন প্রৌঢ় ব্যবসায়ী এক লোডশেডিং এর রাতে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেই বাড়িতে থাকতেন তাঁর বন্ধু অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার ও তাঁর অন্ধ নাতনি। দময়ন্তীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে মৃত ব্যবসায়ী ছিলেন ঘোর দুশ্চরিত্র আর তাঁর এই কদর্য স্বভাবের জন্য ঐ শহরের কয়েকটি অল্পবয়সি ছেলেমেয়ের জীবন ঘন অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার পথে। দময়ন্তীর অনুসন্ধান খুনের রহস্যের সমাধান করল।করল কি?
৩) ইজ্জত
কলকাতার একটি অতি পুরোন পাড়ায় একটি বিশাল প্রাচীন বাড়িতে থাকেন আচার্য পরিবার। একটি অংশে থাকেন একসময়ের অতি উজ্জল চরিত্র কিন্তু বর্তমানে অকালবৃদ্ধ প্রায় পঙ্গু এবং একটি কাজের লোকের ওপরে নির্ভরশীল অরবিন্দ আর অন্য একটি অংশে থাকেন তাঁর প্রগাঢ়যৌবনা উচ্ছৃঙখল জীবন যাপনে অভ্যস্ত স্ত্রী রেবেকা। অরবিন্দ দময়ন্তীর কাছে এলেন যে রহস্যের সমাধান করবার অনুরোধ নিয়ে তা হল মাঝেমাঝেই গভীর রাত্রে তাঁর ঘরের জানলা দিয়ে একটা চোর ভেতরে ঢোকবার চেষ্টা করে যদিও সে ঘরে মহামূল্যবান কিছুই নেই। এত দিন চোরটা সফল হয়নি কিন্তু একদিন হবেই কারন আচার্য বাড়ির উল্টোদিকে একটি প্রাচীনতর পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁর ওপরে নজর রাখছে। দময়ন্তী অনুসন্ধান শুরু করবার কয়েক দিনের মধ্যে অরবিন্দের কাজের লোক নিরুদ্দেশ হয়ে গেল আর অরবিন্দের জানলার নিচে রেবেকার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গেল। এই রহস্যের জট খুলে শেষ করল একটি নির্মম ট্র্যাজেডির।
৪) নীলকান্তপুরের হত্যাকাণ্ড
একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আর তাঁর জেনেরাল ফিজিশিয়ন স্ত্রী নীলকান্তপুরে একটি মনোরোগ চিকিত্সার হাসপাতাল শুরু করেছিলেন। ডাক্তারবাবু ছিলেন পাক্কা সাহেব কিন্তু তাঁর স্ত্রী ছিলেন উড়নচন্ডী এবং অপরাধপ্রবণ। এই মহিলা প্রসাধন করতে গিযে মারা গেলেন। দেখা গেল তাঁর লিপস্টিকে সায়ানাইড মাখান ছিল। ডাক পড়ল দময়ন্তীর। তখন দেখা গেল তাঁর হাসপাতালের কয়েকজন রোগির মগজ ধোলাই করে তাদের সম্পত্তি আত্মসাত করে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওযা হয়েছে। দময়ন্তী সমস্ত ঘটনা analyse করে খুনি ও তার motive বের করে খুনির দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করল।
৫) ভগ্ন অংশ ভাগ
কলকাতার কাছে তিনটে কারখানায় টাইম বোমা বিস্ফোরন হয়। তাদের উদ্দেশ্য যে অন্তর্ঘাত আর উত্পাদন বিঘ্নিত করা তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কে বা কারা করছে এবং কেন করছে সেটা পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। এই রহস্যের জট খোলবার জন্য দময়ন্তীকে ডাকেন আক্রান্ত তিনটে কম্পানির একজন প্রায় অশীতিপর বৃদ্ধ ডিরেক্টর। দময়ন্তী যে শুধু রহস্যের সমাধান করল তাই নয়, সে এই বৃদ্ধের পরিবারকেও ঘোর বিপদের থেকেও উদ্ধার করল।
Reviews
There are no reviews yet.