স্বপ্নের ওপারে মৃত্যু – Akkhor.xyz

শীতের ভোরে শহরের অভিজাত আবাসনের বাগানে কে যেন উপুড় হয়ে পড়ে। মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে! কিছুদিন পর সেখানকারই এক বাসিন্দার চোখে পড়ল একটি ভয়াল হোয়াটসঅ্যাপ-বার্তা। বিকেলেই তাঁদের ফাঁকা ফ্ল্যাটে কেউ গোপনে নজরদারি ক্যামেরা লাগিয়ে পালাল। সেইরাতেই একটি কিশোরী ফোনে ইন্‌স্টল করে বসল এক বিপজ্জনক অ্যাপ। আর তাকে ভয়ঙ্কর কোনো পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে চলল এক রহস্যময় মনস্তত্ত্ববিদ। ওদিকে গোপন ক্যামেরার তথ্য পৌঁছে গেল ভিনরাজ্যের এক অত্যাধুনিক সাইবার ল্যাবে। শেষরাতে জনহীন রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ দেখতে পেলেন বিদ্যুৎগতিতে ছুটে চলা একটি বাইক, যা কোনো ট্রাফিক আইনই মানছে না। নিমেষে তা অদৃশ্য হল সেই আবাসনের আড়ালে। এরপর এক সন্ধ্যায় কোনো স্কুলবাসের খালাসির শরীরে অজান্তেই কেউ ঢুকিয়ে দিল জিপিএস-ট্র্যাকিং মাইক্রোচিপ। কদিন পর সুদূর গ্রামের এক প্রকান্ড বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হানা দিল আপাদমস্তক কালো পোষাকে ঢাকা কিছু লোক। হাতে পিস্তল, পিঠে সাব-মেশিনগান। সঙ্গে আশ্চর্য সব যন্ত্র। কিন্তু লড়াইয়ে জিতবে কে? পরদিন মহানগরীর রাজপথে বর্ণাঢ্য সরকারি অনুষ্ঠান। বিপুল জনসমাগম। অ্যান্টি-সাবোটাজ গ্রুপ থেকে স্নাইপার, ড্রোন থেকে জ্যামার – সবমিলিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্য! একেবারে চরম মুহূর্তে গোয়েন্দা অফিসার আচমকা টের পেলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হতে চলেছেন ভিভিআইপি অতিথিসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষ। তারপর? দুরন্ত গতিতে ছুটতে ছুটতে এ কাহিনী এভাবেই পলকে নিতে থাকবে নাটকীয় মোড়! অতএব, সিটবেল্ট বেঁধে নিন! গভীর শ্বাস নিন! টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এক রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চলেছেন এবার স্বয়ং আপনি!